'দ্যা পারফেক্ট প্রিডেটর' : একটি মারাত্মক সুপারবাগের কবল থেকে স্বামীকে বাঁচাতে একজন বিজ্ঞানীর প্রচেষ্টা নিয়ে স্মৃতিকথা!
বইঃ 'দ্যা পারফেক্ট প্রিডেটর'
লেখকঃ স্টেফানি স্ট্র্যাথডি ও টম প্যাটারসন
জনরাঃ নন-ফিকশন, বায়োগ্রাফি
২০১৫ সালে এপিডেমিওলজিস্ট স্টেফানি স্ট্র্যাথডি ও মনোবিজ্ঞানী টম প্যাটারসন মিশরের লাল পিরামিড দেখতে যান। এসময় পিরামিডের ভেতরের বিষাক্ত গ্যাসের সংস্পর্শে আসেন টম। কে-ই বা জানতো, পিরামিডের সিড়ি বেয়ে উঠানামা টমের জীবনের পরবর্তী দিনগুলির জন্য এক ভয়াবহ-বাস্তব রূপক হয়ে দাড়াবে!
লাল পিরামিডের সেই এডভেঞ্চার থেকে ফেরার কয়েকদিন পরই টম হঠাৎ পেটের অসুখে পড়েন, সবাই ভেবে নিয়েছিলো খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে হয়তো। কিন্তু সামান্য পেটের অসুখ আরও জটিল রূপ ধারণ করলে তাকে UC San Diego এর জরুরী চিকিৎসা কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই জানা যায়, টম সব অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া Acinetobacter baumannii তে আক্রান্ত।
হতবিহ্বল, মানসিকভাবে বিধ্বস্ত স্টেফানি কোমায় যাওয়া টমের হাত ধরে একদিন বিড়বিড় করে জিজ্ঞেস করেছিলেন, 'টম তুমি শুনতে পাচ্ছ কিনা জানিনা, আমি তোমার সাথে বৃদ্ধ হতে চাই। কিন্তু শুধু নিজের জন্য যদি তোমাকে ধরে রাখি তাহলে তা হবে নির্মম স্বার্থপরতা। যদি তুমি বাঁচতে চাও, আমাকে কোনো সংকেত দিয়ে বুঝাও।' টম সেদিন তার কথায় সাড়া দিয়ে তার হাত শক্ত করে চেপে ধরেছিলেন।
স্নাতকের দিনগুলিতে ব্যাকটেরিয়াটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েই ল্যাবে কাজ করেছিলেন স্টেফানি। পুনরায় আবার পড়াশোনা শুরু করেন, একটি গবেষণাপত্র পড়ে ব্যাকটেরিওফাজ থেরাপি সম্পর্কে জানতে পারেন। নিজের শিক্ষাগত ও গবেষণার অভিজ্ঞতা এবং সারা বিশ্বের গবেষকদের সহায়তায় তিনি পয়ঃবর্জ্য থেকে একধরনের ব্যাকটেরিওফাজকে আলাদা করেন। পরবর্তীতে যার সাহায্যে চিকিৎসা চালিয়ে সাক্ষাৎ যমদূতের হাত থেকে স্বামীকে কেড়ে নিয়ে আসেন।
'দ্যা পারফেক্ট প্রিডেটর' একটি ভালোবাসার গল্প, সমস্ত প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে বেঁচে থাকার গল্প এবং বিশ্বব্যাপী সুপারবাগ সংকটে শক্তিশালী বায়োমিসাইল ব্যাকটেরিওফাজকে পুনরায় আবিষ্কারের গল্প।